হাদিয়া বা আপ্যায়ন হারাম উপার্জনের হলে গ্রহণ করা জায়েজ?

ছবি সংগৃহীত

 

নিঃস্বার্থভাবে কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে যে দান বা উপঢৌকন প্রদান করা হয় তা-ই হাদিয়া। আর আপ্যায়ন মানে মেহমানদারি। এই দুই কাজই উদারতা ও সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির আচরণের প্রতীক। সব নবী-রাসুল ও সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে এই গুণদ্বয় বিদ্যমান ছিল।

 

ইসলামে এসব উৎসাহব্যঞ্জক নেক আমল। এতে পারস্পরিক সৌহার্দ বা হৃদ্যতা সুদৃঢ় হয়। কিন্তু সেই হাদিয়া বা মেহমানদারি যদি হারাম সম্পদ থেকে দেওয়া হয়, তখন তা গ্রহণ করা জায়েজ হবে কি না জানতে চান অনেকে।

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, যার উপার্জন হালাল-হারাম মিশ্রিত সে যদি কোনো কিছু হাদিয়া দেয় বা দাওয়াত করে, ওই হাদিয়া বা দাওয়াত হালাল মাল থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা যায়, তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েজ। আর যদি হারাম মাল থেকে হাদিয়া বা দাওয়াতের ব্যবস্থা করেছে বলে জানা যায় তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েজ হবে না।

 

পক্ষান্তরে হাদিয়া বা দাওয়াতের ব্যবস্থা কোন ধরনের সম্পদ থেকে করেছে তা যদি জানা না যায়, তাহলে এক্ষেত্রে তার অধিকাংশ উপার্জন হালাল হয়ে থাকলে তার দাওয়াত ও হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েজ আছে। আর যদি অধিকাংশ উপার্জন হালাল না হয়, তাহলে গ্রহণ করা যাবে না।

 

(মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক: ১৪৬৭৫; শরহুস সিয়ারিল কাবির: ১/৯৯; উয়ুনুল মাসাইল, পৃ-২২০; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩৪৩)  সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

» রাজাকারের নাতিপুতি আখ্যা দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল অপমানজনক

» নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবে: টুকু

» রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার পাশে থাকবে: আসিফ নজরুল

» প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে যাচ্ছেন ৪ রাজনীতিবিদকে নিয়ে

» এবারের দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দুর্গাপূজায় আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রতিরোধের প্রস্তুতি থাকতে হবে: তারেক রহমান

» পিআর দাবি জনগণের আঙ্খাকার সঙ্গে ‘মুনাফেকি’: রিজভী

» পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় অতন্দ্র প্রহরী হোন: নেতা-কর্মীদের মির্জা ফখরুল

» সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

হাদিয়া বা আপ্যায়ন হারাম উপার্জনের হলে গ্রহণ করা জায়েজ?

ছবি সংগৃহীত

 

নিঃস্বার্থভাবে কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে যে দান বা উপঢৌকন প্রদান করা হয় তা-ই হাদিয়া। আর আপ্যায়ন মানে মেহমানদারি। এই দুই কাজই উদারতা ও সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির আচরণের প্রতীক। সব নবী-রাসুল ও সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে এই গুণদ্বয় বিদ্যমান ছিল।

 

ইসলামে এসব উৎসাহব্যঞ্জক নেক আমল। এতে পারস্পরিক সৌহার্দ বা হৃদ্যতা সুদৃঢ় হয়। কিন্তু সেই হাদিয়া বা মেহমানদারি যদি হারাম সম্পদ থেকে দেওয়া হয়, তখন তা গ্রহণ করা জায়েজ হবে কি না জানতে চান অনেকে।

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, যার উপার্জন হালাল-হারাম মিশ্রিত সে যদি কোনো কিছু হাদিয়া দেয় বা দাওয়াত করে, ওই হাদিয়া বা দাওয়াত হালাল মাল থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা যায়, তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েজ। আর যদি হারাম মাল থেকে হাদিয়া বা দাওয়াতের ব্যবস্থা করেছে বলে জানা যায় তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েজ হবে না।

 

পক্ষান্তরে হাদিয়া বা দাওয়াতের ব্যবস্থা কোন ধরনের সম্পদ থেকে করেছে তা যদি জানা না যায়, তাহলে এক্ষেত্রে তার অধিকাংশ উপার্জন হালাল হয়ে থাকলে তার দাওয়াত ও হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েজ আছে। আর যদি অধিকাংশ উপার্জন হালাল না হয়, তাহলে গ্রহণ করা যাবে না।

 

(মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক: ১৪৬৭৫; শরহুস সিয়ারিল কাবির: ১/৯৯; উয়ুনুল মাসাইল, পৃ-২২০; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩৪৩)  সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com